Call: +880 1774-870962
Behind Shimanto Square front mall. 41 Rd No. 2, Dhaka 1205
গিয়েছিলাম শপিংএ একটা জুতা কিনবো। ফ্লাট থেকে জুতা চুরি হয়ে যায়। গত কয়েকদিন আগে আমার একটা লাল কেডস গায়েব। আমাদের শপিংয়ের এরিয়া হলো নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি এর দিকে , বসুন্দরা সিটি এর দিকে। মানে এসব জায়গা ছাড়া অন্য দিকে এখনো আমার যাওয়া হয় নাই।
তো জুতা কিনার জন্য ধানমন্ডির দিকে গেলাম। অনলাইনে একটা পেজ দেখেছিলাম, লেদার বুটের এড ছিল। খবর নিয়ে দেখলাম ওরা জিগাতলার দিকে। ঠিকানা নিয়ে ওখানে গেলাম। একটা ছোট ঘরে কয়েকজন বন্ধু-বান্দব মিলে মনে হলো কিছু একটা করতে চাইছে। উদ্যোগ দেখে ভালোই লাগলো। বেকার না থেকে যখন যুব সমাজ কোনো কাজ বা উদ্যোগী কিছু করতে চায় তখন আমার খুব ভালো লাগে। একটা জুতা কিনতে চাইলাম তাদের কাছ থেকে, অনেক চেষ্টা করলাম অন্তত একটা পছন্দ করতে কিন্তু কালেকশন অনেক কম ছিলো। তাই ভালো এবং পছন্দ মতো পেলাম না। ওদের বলে এসেছি পরবর্তী সময় আসবো এবং কালেকশনও বাড়াতে বলেছি। আশা করি পরবর্তী সময় ওদের কাছ থেকে একটা জুতা কিনতে পারবো। ওদের নাম এখন দিবো না। যখন আমার পছন্দের জুতা হবে তখন দিবো। হয়তো তাদের একটু সুবিধা হবে।
আমরা রাতে বের হই সাধরণত। তো একটা টার্গেট মিস হওয়ায় মনে হলো সময়টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই দেরি না করে সীমান্ত চত্বরের মার্কেটের দিকেই গেলাম। মার্কেটের ভিতরে একটা মার্কেট আছে হঠাৎ ঐটা চোখের পড়লো। বউ বললো ঐখানে মার্কেট না, কনভেনশন সেন্টার , অফিস আদালত ইত্যাদি হবে। পরে একজন বললো নীচতালাটা মার্কেট। আগ্রহী হয়ে গেলাম এবং অবাক হলাম এতো বড় এবং সুন্দর পরিবেশে একটা জায়গায় কেন কোনো পাবলিসিটি নাই। মনে হলো বসুন্দরা সিটি এর থেকেও বড় স্পেস এবং দোকান গুলোও সুন্দর ভাবে সাজানো। গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং প্রথম ফ্লোর এ সব দোকান-পাট. নবম ফ্লোরে ফুড কোর্ট এবং সিনেমা মনে হয়। কিন্তু পুরো মলটাতে মানুষ জন নাই। দোকানীরা অনেকেই বললো তেমন পাবলিসিটি না থাকায় মানুষ মার্কেটটায় কম আসে এমন কি তাদের স্টাফরা কেউ কেউ কাজে আসার সময়ে প্রথম দিন এই মার্কেট আবিষ্কার করেছে। যাইহোক, বউ কিছু কাপড় কিনলো আর আমি পছন্দের জুতা পেলাম না। কয়েকটি মাত্র জুতার দোকান ছিল।
এই ভিতরের মার্কেটে যাওয়ার সময় আমরা টার্বোশ দেখলাম। একটা মেন্যু নিয়েছিলাম খাবার কি কি আছে তা দেখার জন্য। যখন মার্কেটে ঘুরছিলাম তখন আমার দেখা হয়ে গিয়েছিলো কয়েক নজর।
যাইহোক, ভেতরের মার্কেট থেকে বের হয়ে ওদের সামনের মার্কেটে যেখানে আমরা সবসময় যাই ওখানে গেলাম এবং ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেলো। সবাই দোকান বন্ধ করছিলো। নিচে নেমে ঠিক করলাম সন্ধ্যাটাকে একটু কাজে লাগাই, ততক্ষনে পেটেও ইঁদুর বিড়াল দৌড়া দৌড়ি করছিলো। বউকে বললাম চলো টার্বুশেই যাই।
তো ভিডিওতেই দেখুন আমাদের Tarboosh-এর অভিজ্ঞতা। রেটিং ও দিয়ে দিলাম।